পূজার সময় শঙ্খ, ঘন্টা ও উলুধ্বনির মাহাত্ম্য কী?
অালোচনাঃ----
♦️ শঙ্খঃ---- যে স্থানে শঙ্খধ্বনি হয়, সেখানে লক্ষ্মী সুস্থিরভাবে অবস্থান করেন। শঙ্খে হরি নিয়তই অধিষ্ঠিত, তাই যে স্থানে শঙ্খ, সেস্থানে শ্রীহরি লক্ষ্মীসহ বিরাজ করেন। তাই শঙ্খধ্বনি অত্যন্ত মঙ্গলময় এবং তা অশুভ শক্তি দূরীভূত করে। ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে ( প্রকৃতখণ্ড ২০.২৭--৩১) তা উল্লেখ করা হয়েছে। শঙ্খধ্বনি শ্রোতার মনযোগ অাকর্ষণ করে হ্নদয়ে অাধ্যাত্মিক উদ্যম জাগরিত করে।
♦️ ঘন্টাঃ---- সাধারণত মন্দিরে প্রবেশের পূর্বে এবং অারতিকালে ঘন্টা বাজানো হয়। ঘন্টাধ্বনির মাধ্যমে ভগবানের মনযোগ ও দৃষ্টি অাকর্ষণ করা হয়। ঘন্টাধ্বনি অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে। অামাদের মস্তিষ্ক থেকে বর্তমান নেতিবাচক চিন্তাগুলো মুছে যায় এবং ভগবৎ--অারাধনায় অামাদের মনোযোগী করে তোলে।
♦️উলুধ্বনিঃ---- স্ত্রীলোকদের দ্বারা কৃত উলুধ্বনি অশুভশক্তি বিনাশকারী ও মঙ্গলময় এবং হরিধ্বনি সহযোগে উলুধ্বনি অাধ্যাত্মিক চেতনাকে উজ্জীবিত করে ও উদ্যম বৃদ্ধি করে। কিন্তু পুরুষদের তা কখনো করা উচিত নয়, কারণ তা তাদের মুখ থেকে ধ্বনিত হলে সেই ধ্বনি অমঙ্গলজনক বলে মনে করা হয়।
সর্বোপরি, শঙ্খধ্বনি, ঘন্টাধ্বনি ও উলুধ্বনি ভগবানের অত্যন্ত প্রিয় এবং মঙ্গলময় ; তাই অনাদি কাল ধরেই সনাতন ধর্মীয় সংস্কৃতিতে এগুলোর ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষণীয়।
🙏🌿🙏🙏জয় শ্রী কৃষ্ণ 🙏🙏🌿🙏