সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০২০

*বেদ সম্পর্কে বিখ্যাত মনিষীদের উক্তি

*বেদ সম্পর্কে বিখ্যাত মনিষীদের উক্তি

"মানবসভ্যতার সবচেয়ে বড় সৌভাগ্য? বেদ।"-বিখ্যাত পথার্থবিদ রবার্ট ওপেনহাইমার
 
"যখন আমি বেদ পড়ি তখন এক অপ্রাকৃত আলোক যেন আমায় আলোকিত করে, এটি এমন একটি গ্রন্থ যাতে কোন বিভেদ নেই, এটি সকল দেশ, সকল জাতি, সকল কালের জন্য, যেন জ্ঞান অর্জনের এক রাজকীয় পথ!” -হেনরী ডেভিড থরো 

“বেদ হচ্ছে শল্যবিদ্যা, শরীরবিদ্যা, প্রকৌশল, গণিত, সঙ্গীত, সংস্কৃতি সকল কিছুর এক মিলিত সমাবেশ, যেন এক জীবন্ত বিশ্বকোষ!” -উইলিয়াম জেমস, বিখ্যাত আমেরিকান দার্শনিক 

“পৃথিবীতে বেদ ও উপনিষদ এর মত এত প্রণোদনাপূর্ণ, এত অতিমানবীয় বই আর নেই।” -ম্যাক্স মুলার, প্রখ্যাত জার্মান সংস্কৃত বিশারদ

“Ò Vedas are the most rewarding and the most elevating book which can be possible in the world. (Ó Arthur Schopenhauer) “এই পর্যন্ত বেদ এত যত্নের সাথে সংরক্ষিত হয়েছে যে আর কোন বইয়ের সাথেই তার তুলনা দেয়া যায়না। এরকম পরিবর্তিত হবার ক্ষীণতম সম্ভাবনা পর্যন্ত না থাকা মানব ইতিহাসের একমাত্র দৃষ্টান্ত।” -আর্থার এন্থনি ম্যাকডোনেল
 
"আমরা আর্যদের প্রতি কৃতজ্ঞ কেননা তাঁরা সংখ্যা আবিষ্কার করেছেন যা ছাড়া বিজ্ঞানের কোন আবিষ্কারই সম্ভবপর হত না!” 

স্যার আলবার্ট আইনসটাইন:- বেদে সংখ্যাতত্ত্বের সর্বপ্রথম উল্লেখ প্রসঙ্গে। "আশ্চর্য! বুঝতে পারলাম যে যত ঐশ্বরিক গ্রন্থের কথা শোনা যায় তাদের মধ্যে বেদ ই একমাত্র যার সকল ধারনা আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে সংগতিপূর্ন, একমাত্র এটিই জগতের ক্রমান্বয় উন্নতির পথ ঘোষনা করে।”

বিখ্যাত ফরাসী লেখক ও ধর্মতত্ত্ববিদ Louis Jacolliot তাঁর "The bible in India" গ্রন্থে "প্রকৃতপক্ষে যেসকল নীতিসমূহ বেদপ্রদত্ত তার নূন্যতম গুনাগুন পর্যন্ত আমি বর্ণনা করার যোগ্য নই যা মানুষের প্রথম এবং অনুশীলিত শ্রেষ্ঠ নীতিও বটে!”

নোবেল বিজয়ী বেলজিয়ান কবি ও দার্শনিক Maurice Maeterlink তাঁর The Grande Secret গ্রন্থে তিনি বলেন- “সবচেয়ে মহত্তম ও শ্রেষ্ঠতম গ্রন্থ সেটি যার সৃষ্টিতত্ত্বকে পাশ্চাত্যের কোন গবেষণাও ছাড়িয়ে যেতে পারেনি!” পিথাগোরাসের দুই হাজার বছর পূর্বে তারা সৌরজগতের গঠন সম্পর্কে জানত, তারা জানত যে সূর্যকে কেন্দ্র করেই গ্রহসমূহ ঘোরে, নিউটনের ২৪০০ বছর পূর্বেই তারা জানত যে মহাকর্ষের প্রভাবেই মহাবিশ্ব একত্রিত হয়ে রয়েছে, এমনকি গ্রীকরাও যখন মনে করত যে পৃথিবী সমতাল তখন ও সংস্কৃতভাষী লোকগুলোর ঋগে¦দ এ পৃথিবীর চ্যাপ্টা গড়নের কথা ছিল। তারা জানত যে পৃথিবীর বয়স ৪.৩ বিলিয়ন বছর যাতে আধুনিক বিজ্ঞান উনিশ শতকে এসে একমত হল।”

Dic Teres, Famous American writer, co-author of The God particle “বেদ শুধু অসাধারন জীবনদর্শনের জন্য ই অবিস্মরণীয় নয় বরং অনবদ্য বিজ্ঞানের জন্যও, বিদ্যুৎ, বিচ্ছুরণ, বিমানবিদ্যা  সবই যেন বেদের ঋষিদের জানা ছিল!”

ইলা হুইলার উইলকক্স, প্রখ্যাত আমেরিকান লেখিকা:- “সকল বুদ্ধিবৃত্তি, রাজনীতি, অর্থনীতি, সকল ধর্মের ধারা বেদ থেকেই প্রবাহিত। এমনকি অসামান্য গ্রীক সভ্যতাকেও এর কাছে একেবারে বিবর্ণ মনে হয়!”

ফ্রেডরিক ভন শেলজেল:- “এটা খুব ই আশ্চর্য যে বেদের ভাষাশৈলী এতই নিখুঁত ও সৌন্দর্যমন্ডিত যে আধুনিক কালে আমাদের মিলটন, শেকসপিয়ার বা টেনিসনকেও এর কাছে কম মনে হয়!”

আলফ্রেড রাসেল ওয়ালেস “নিঃসন্দেহে ঋগে¦দ মানবসভ্যতার সর্বোচ্চ গরিমাময় রাজপথ।”

প্রফেসর মরিস ফিলিপ, দ্যা টিচিংস অব বেদ “এটি এমন একটি তত্ত্ব যা এক স্রষ্টার অস্তিত্ব ঘোষণা করে, এটি এমন ই একটি বই যাতে বিজ্ঞান ও ধর্মের মিলন ঘটেছে।”