ধৈর্য নিয়ে পড়লে আশা করি আর বিভ্রান্তি হবেনা।
ধর্মে বলিপ্রথা এবং মাংসাদি আহার কি নিষিদ্ধ?
মনসাপূজা, দুর্গাপূজা এবং কালীপূজা আসলেই কিছু মানুষ সক্রিয় হয়ে লেখালেখি এবং প্রচারণা শুরু করে দেয় শাস্ত্রীয় বলিপ্রথার বিরুদ্ধে। তাদের কিছু বালখিল্য যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করতে চায় সনাতন ধর্মে #পশুবলি অধর্মাচরণ এবং অশাস্ত্রীয় । তবে একথা সত্য যে বলি প্রথা অমানবিক এবং অনেকটা দৃষ্টিকটুও বটে।
কিন্তু বলিপ্রথা কি সত্যই ধর্মে নিষিদ্ধ?
আমাদের পূজা পদ্ধতি প্রধানত দুইটি ধারায় বিকশিত #বৈদিক এবং #তান্ত্রিক শাস্ত্রাচার পদ্ধতি । এই দুটি পদ্ধতিতেই পশুবলির বিধান দেয়া আছে।
সারা পৃথিবীর হিন্দু সম্প্রদায় প্রধানত তিনটি প্রধান মতে বিভক্ত শাক্ত, শৈব এবং বৈষ্ণব। এ তিনটি মতের মধ্যে বৈষ্ণব মতটিকে বাদ দিলে অন্যদুটি মতে পূজা উপাসনার অত্যাবশ্যকীয়ভাবেই পশুবলির বিধান দেয়া আছে। শাক্ত মতের অন্যতম প্রধান গ্রন্থ #শ্রীশ্রীচণ্ডীতে দ্বাদশ অধ্যায় (১০,১১, ২০) সহ একাধিক স্থানেই দেবীপুজায় পশুবলির কথা বলা আছে। একইভাবে শৈবদের গ্রন্থাবলীতেও পশুবলির বিধান আবশ্যকীয়ভাবে দেয়া আছে।
শুধুমাত্র বৈষ্ণব পুরাণ এবং শাস্ত্রাবলিতে পশুবলির আবশ্যকতা খুব একটা পাওয়া যায় না। এর অন্যতম কারণ বৈষ্ণব শাস্ত্রাদিতে ও উপাসনায় অহিংসা তত্ত্বের প্রভাব এবং শ্রীরামানুজাচার্য, শ্রীমধ্বাচার্য, শ্রীনিম্বার্ক এই প্রধান চার বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের প্রধান আচার্যবৃন্দ সকলেই দক্ষিণ ভারতের। আর বলার অপেক্ষা রাখে না, দক্ষিণ ভারতে ঐতিহাসিকভাবেই নিরামিষাশী প্রভাব প্রবল। সেখানে বহু মুসলিম এবং খ্রিস্টানরাও নিরামিষাশী।এই নিরামিষ খাদ্যাভ্যাসেরই সরাসরি প্রভাব পরেছে বৈষ্ণব সম্প্রদায়গুলোর উপরে।
বেদের পরে বৈষ্ণবদের প্রধান গ্রন্থ হলো #শ্রীমদ্ভাগবত এবং #বিষ্ণু_পুরাণ। তবে বৈষ্ণবদের জীবনে শ্রীমদ্ভাগবতের প্রভাব তীব্র এবং অসীম। ফেসবুকে যেহেতু বেশী কথা লেখার সুযোগ নেই তাই পশুবলি এবং মাংসাহার সম্পর্কিত শ্রীমদ্ভাগবতের দুটি স্কন্ধের কয়েকটি শ্লোকের বাংলা অনুবাদ তুলে দিচ্ছি। আপনারা নিজেরা পড়ে নিজেরাই বুঝে যাবেন যে পশুবলি এবং মাংসাহার সম্পর্কে শ্রীমদ্ভাগবতের মতাদর্শ কি।
( এখানে অনুবাদে রণব্রত সেন সম্পাদিত এবং ত্রিপুরাশংকর সেনশাস্ত্রী ভূমিকা সম্বলিত হরফ প্রকাশিত শ্রীমদ্ভাগবত ব্যবহৃত হয়েছে)
"অজগর যাকে গ্রাস করেছে সে যেমন অন্যকে রক্ষা করতে পারে না, তেমনি কাল, কর্ম ও ত্রিগুণের অধীন পাঞ্চভৌতিক এই দেহের পক্ষে অন্য কাউকে রক্ষা করা সম্ভব নয়। ভগবানই সকলের উপযুক্ত জীবিকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। হাতযুক্ত মানুষ হাত নেই এমন প্রাণীদের খায়, পা যুক্ত পশুরা পা নেই এমন খাদ্য অর্থাৎ ঘাস-লতাপাতা খায়। এভাবে বড় প্রাণীরা ছোট প্রাণীদের হত্যা করে। জীবই জীবের জীবিকা - এই নিয়ম। এ জগৎ ভগবানই। তিনিই সর্বজীবের আত্মা, অথচ অদ্বিতীয়, ঐভাবে স্বপ্রকাশ। তিনিই অন্তরস্থ, তিনিই বহিঃস্থ। এক ঈশ্বরকে মায়া প্রভাবে দেব,মানুষ প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন রূপে উপস্থিত দেখ।"
( শ্রীমদ্ভাগবত: প্রথম স্কন্ধ, ১৩ অধ্যায় ৪৫-৪৭)
"শাস্ত্রে দেবোদ্দেশে পশুবধের বিধান থাকলেও বৃথা হিংসার বিধান নেই।....... কিন্তু ভোগাসক্ত মানুষ এই বিশুদ্ধ ধর্ম জানে না। শাস্ত্রে অনভিজ্ঞ, গর্বিত ও পণ্ডিতম্মন্য সেই পাপাচারী নিঃশঙ্কচিত্তে পশুবধ করে, কিন্তু পরলোকে সেই নিহত পশুরাই ( বলি না দিয়ে হত্যা করা) তাদের মাংস খেয়ে থাকে। এইভাবে যারা পশুহিংসা দ্বারা পরদেহের প্রতি হিংসা করে, তারা সেই সর্বান্তর্যামী শ্রীহরিকেই দ্বেষ করে।"
(শ্রীমদ্ভাগবত : একাদশ স্কন্ধ, ৫ম অধ্যায়, ১৩-১৪)
শ্রীমদ্ভাগবতের দুটি কোটেশনে আপনাদের দুটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করবো-
১.হাতযুক্ত মানুষ হাত নেই এমন প্রাণীদের খায়, পা যুক্ত পশুরা পা নেই এমন খাদ্য অর্থাৎ ঘাস-লতাপাতা খায়। এভাবে বড় প্রাণীরা ছোট প্রাণীদের হত্যা করে। জীবই জীবের জীবিকা - এই নিয়ম। এ জগৎ ভগবানই।
২. শাস্ত্রে দেবোদ্দেশে পশুবধের বিধান থাকলেও বৃথা হিংসার বিধান নেই।....... কিন্তু ভোগাসক্ত মানুষ এই বিশুদ্ধ ধর্ম জানে না।
আশাকরি এখানেই আপনারা আপনাদের উত্তর পেয়ে গেছেন যে শ্রীমদ্ভাগবতে পশুবলি এবং মাংসাহার নিষিদ্ধ কি নিষিদ্ধ না?
একারণেই মহানির্বাণতন্ত্রে বলা হয়েছে -
দেবোদ্দেশং বিনা ভদ্রে হিংসা সর্বত্র বর্জয়েৎ।(১১.১৪৩)
দেবোদ্দেশে বলিদান উৎসর্গ ব্যতীত সর্বত্রই হিংসা বর্জন করতে হবে।
এবং এ বিষয়ে আরো বলা হয়েছে-
কৃতায়াং বৈধহিংসায়াং নরঃ পাপৈর্ন লিপ্যতে। (১১.১৪৩)
দেবোদ্দেশে বলিদানে যে হিংসা শাস্রে তাকে বৈধহিংসা বলা হয়েছে। হিংসা পাপ, কিন্তু বৈধহিংসায় পাপ স্পর্শ করে না।
আমি বিশ্বাস করি আর না করি, শাস্ত্রে আছে বলিকৃত পশু সকল বন্ধন মুক্ত হয়ে মুক্তিলাভ করে। আমাদের ষড়রিপুর নাশের প্রতীক হিসেবেই পশুবলি দেয়া হয়। যেমন পাঠা হলো অনিষ্টকর কামের প্রতীক, মহিষ হলো ক্রোধের প্রতীক। তবে পশুবলি হয়তো প্রতিকী, কিন্তু সত্যিকারের পশুবলি দেবতার উদ্দেশ্যে আমরা তখনই দিতে পারবো যখন সত্যিসত্যি আমরা আমাদের দেহ থেকে কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ,মদ ও মাৎসর্য রূপ শরীরস্থ এই ষড়রিপুকেই বিনাশ করে পশুত্ব থেকে
প্রথমে মনুষ্যত্ব এবং অন্তে দেবত্বে পৌছতে পারবো।
শ্রীভগবানের কাছে এই হোক আমাদের প্রার্থনা -
#ধিয়ো_যো_নঃ_প্রচোদয়াৎ।।
পাঁঠাবলি এবং মাংস খাওয়া নিয়ে পক্ষেবিপক্ষে মাঝেমধ্যেই হইহুল্লোর দেখি। দুপক্ষই তাদের #তালগাছটা_আমার যুক্তিতে অটল।যারা উদ্ভিজ্জ আমিষ, যা প্রচলিত ভাষায় আমাদের কাছে নিরামিষ নামেই খ্যাত সেই নিরামিষ খায়, তাদের নিয়ে আমার কোন কথা নেই, তারা বলির বিপক্ষে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যারা পাঁঠার মাংস দিয়ে পেটপূর্ণ করে পাঁঠাবলির বিরুদ্ধে ফেসবুক উত্তাল করে ফেলছে, তাদেরকে উদ্দেশ্য করে আমার দু'একটা কথা আছে।
পাঁঠাবলি এবং কুরবানির উদ্দেশ্য এবং প্রকৃতি প্রায় একই রকমের। আমি আমার এই জীবনে কোন মুসলিমকে কোনদিন দেখিনি কোরবানির বিরুদ্ধে সামান্য দুই একটা শব্দও ব্যবহার করতে ; সে অশিক্ষিত রিক্সাওয়ালা হোক অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। কিন্তু হিন্দুরা .....
পশুবলি নিয়ে আমি বিভিন্ন সময়ে আমার টাইমলাইনে কয়েকটি পোস্ট দিয়েছি, সেখানে আমি বলেছি বা যুক্তি প্রমাণ দিয়ে বলার চেষ্টা করেছি পশুবলি অমানবিক, দৃষ্টিকটু ; কিন্তু অশাস্ত্রীয় নয়।
অনেকেই বলে বেদ, রামায়ণ, মহাভারত সহ আমাদের সকল শাস্ত্রে নাকি আমাদের একমাত্র নিরামিষ খেতেই বলেছে ; এবং ভগবান শ্রীরামচন্দ্রও নাকি নিরামিষাশী ছিলেন?
শ্রীরামচন্দ্রের নিরামিষাশীর মিথ্যা প্রচারণা দেখে আমার মনে হলো, এই বিষয়ে আমার দুইএকটা সত্যিকথা
লেখা উচিৎ। আসলে কি শ্রীরামচন্দ্র নিরামিষাশী ছিলেন?
পুরো বাল্মীকিরচিত রামায়ণ না হয় বাদই দিলাম, শুধুমাত্র রামায়ণের অযোধ্যাকাণ্ডেই অসংখ্য স্থানে শ্রীরামচন্দ্রের মাংসাহারের কথা আছে। আমি শুধুমাত্র কয়েকটি স্থানের বাংলা অনুবাদ তুলে দিচ্ছি-
" অনন্তর রাম ও লক্ষ্মণ ক্রোশমাত্র পথ অতিক্রম করে বহু মৃগ বধ করলেন এবং যমুনা প্রদেশস্থ সেই বন মধ্যে ভোজনাদি ক্রিয়া সমাধা করলেন।"
(অযোধ্যাকাণ্ড : ৫৫. ৩২)
"রাম দেখলেন, পর্ণশালাটি দৃঢ়ভাবে নির্মিত, পত্র-পটলে আচ্ছাদিত ও দেখতে অতি সুন্দর হয়েছে, দেখে সেবা- পরায়ণ লক্ষ্মণকে বললেন- ভাই মৃগমাংস আহরণ করে বাস্তুযাগ করতে হবে।যারা দীর্ঘজীবন কামনা করেন, বাস্তুশান্তি বা বাস্তুযাগ তাদের পক্ষে অবশ্য কর্তব্য। অতএব হে শুভদর্শন লক্ষ্মণ, অবিলম্বে একটি মৃগ শিকার করে নিয়ে আসো; ধর্মাচার ভুলিও না- শাস্ত্রীয় বিধান অবশ্যই পালন করতে হবে।
অরিন্দম লক্ষ্মণ দাদা রামের কথানুসারে সমস্ত কার্য নির্বাহ করলেন। রাম তাকে পুনরায় বললেন, - লক্ষ্মণ, এই হরিণের মাংস রান্না করো ; ঐ মাংস দ্বারা পর্ণশালায় অর্চনা করতে হবে। অতএব তাড়াতাড়ি করো, অদ্যকার এই দিন ধ্রুবনক্ষত্র সমন্বিত পবিত্র, তাই এর প্রত্যেকটি মুহূর্তকালই শুভ। এই শুভমুহুর্ততেই আমি রন্ধনকৃত মৃগমাংস দ্বারা পর্ণশালার উদ্দেশ্যে যজ্ঞ করবো।"
( অযোধ্যাকাণ্ড : ৫৬. ২১-২৫)
আগুনে ধুপ দিলে ধুপের ঘ্রাণ যেমন আসবে, ঠিক একইভাবে খাদ্যাভ্যাস মানুষের দেহমনের উপরে অত্যধিক প্রভাব বিস্তার করে এতে কোন সন্দেহ নেই। যারা বিদ্যাচর্চা, মেধাচর্চায় আছেন তারা অবশ্যই নিরামিষ খাবেন কিন্তু যারা কায়িক শ্রমে, সেনাবাহিনী সহ দেশরক্ষায় আছেন, তাদের জন্যে নিরামিষ আহার কতোটা যৌক্তিক?
আমরা শুধুমাত্র বলতে চাই
#অন্যের_উপরে_ফতোয়া_না_জারি_করে
যার যার খাবার, খাদ্যাভ্যাস ; তার তার উপরেই ছেড়ে দিন। তিনিই তার খাদ্যাভ্যাস নির্বাচন করে নিবেন; তাই অহেতুকী খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ফতোয়া জারি করার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা।
পশুবলি নিয়ে আমার ব্যক্তিগত মতামত অনেকটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পণ্ডিত রামচন্দ্র শর্মাকে উপলক্ষ করে একটি কবিতার মতো। এ কবিতাটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অত্যন্ত সুন্দরভাবে বিষয়গুলি আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। কবিগুরু বলেছেন-
"হিংসারে ভক্তির বেশে দেবালয়ে আনে,
রক্তাক্ত করিতে পূজা সংকোচ না মানে।
সঁপিয়া পবিত্র প্রাণ, অপবিত্রতার
ক্ষালন করিবে তুমি সংকল্প তোমার,
তোমারে জানাই নমস্কার।
মাতৃস্তনচ্যুত ভীত পশুর ক্রন্দন
মুখরিত করে মাতৃ-মন্দিরপ্রাঙ্গণ।
অবলের হত্যা অর্ঘ্যে পূজা-উপচার—
এ কলঙ্ক ঘুচাইবে স্বদেশমাতার,
তোমারে জানাই নমস্কার।"
এ কবিতাটি ছড়াও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পশুবলির বিরুদ্ধে অনেক মর্মস্পর্শী লেখা আছে। এর পরেও দুঃখজনকভাবে বলতে হয় আমরা স্বর্গে বাস করি না। বাস করি পাপপুণ্যময় পৃথিবীর কলিযুগে। কলিযুগের তিনভাগ পাপ এবং একভাগ পুণ্য। আসুরিক, দুরাচারী, #আততায়ীদের ছড়াছড়ি আমাদের চারিদিকে। খুবই লক্ষণীয় যে অসুররেরা আততায়ীরা বলি হয়ে যাওয়ার ভয়তে মায়ের হাতের খড়্গকে অত্যধিক ভয় পায়। শাস্ত্রে আততায়ী তাদেরই বলে, যারা অন্যের গৃহে অগ্নি সংযোগ করে, অন্যকে মেরে ফেলতে বিষ প্রয়োগ করে, অস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখায়, অন্যের ধন অপহরণ করে, জমিজমা দখল করে, নারীদের অপহৃত করে ভোগদখল করে।
যে যে অঞ্চলে পশুবলি এবং খড়গের ছড়াছড়ি সে সকল অঞ্চলে আসুরিক ভাবাপন্ন আততায়ীদের আনাগোনা উৎপাত অনেক কম বললেই চলে। বলির খড়্গ হলো মায়ের সকল শক্তির প্রতীক। তাইতো এ খড়্গ মাহাত্ম্য প্রসঙ্গে শ্রীশ্রীচণ্ডীতে একটি অসাধারণ শ্লোক আছে :
অসুরাসৃগ্ বসাপঙ্কচর্চিতস্তে করোজ্জ্বলঃ।
শুভায় খড়্গঃ ভবতু চণ্ডিকে ত্বাং নতা বয়ম্।।
(শ্রীশ্রীচণ্ডী : ১১.২৮)
"হে মা চণ্ডিকে, তোমার হাতে শোভিত প্রজ্বলিত তেজোময়, দুরাচারী অসুরের রক্ত ও মেদলিপ্ত খড়গই আমাদের একমাত্র সহায় হোক ; এ খড়্গ দ্বারাই তুমি আমাদের সকল বিঘ্ননাশ করে কল্যাণসাধন এবং রক্ষা করো। মাগো তোমায় প্রণাম।"
আমি জানি আমার লেখাটায় কিছু মানুষ দুঃখ পেয়েছেন, অথবা আমার উপরে বিরক্ত হয়েছেন; কিন্তু ঠিক কিছুই করার নেই আমার। বিভিন্ন সময়ে পশুবলির বিরুদ্ধে, মাংসাদি আহারের বিরুদ্ধে প্রচারণা দেখে, অসংখ্য মানুষ এ বিষয়ে আমার মতামত জানতে চায়। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই অনিচ্ছায় ঢেঁকিগেলার মতো এই পোস্টটি দেয়া। কেউ দুঃখ বা কষ্ট পেয়ে থাকলে, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
শ্রীকুশল বরণ চক্রবর্ত্তী