ছোটবেলা থেকে অনেকের মনে প্রশ্ন হতে পারে,যেকোনো পুজোয় ঘট কেন ব্যবহার করা হয়? দুর্গা পুজা, লক্ষ্মী পুজা, সরস্বতী পুজা , মনসা পুজা প্রায় সব পুজায় দেখা যায় যে প্রতিমা থাকুক আর না থাকুক ঘট থাকবেই।
যে কোন পুজোর সময় ঘট স্থাপন করতে হয়। ঘট কোন দেবী বা দেবতার প্রতিমা নয়। ঘট ভগবানের নিরাকার অবস্থার প্রতীক। হিন্দুরা পুজোর সময় যেমন ভগবানের সাকার স্বরূপ কে পুজো করে তেমনি নিরাকার স্বরূপকেও পুজো করেন। তাই ঘট স্থাপন প্রতি পুজোতে একান্ত আবশ্যক। ঘট স্থাপন ছাড়া পুজো অসম্পূর্ণ বলে মনে করা হয়। প্রায় সব পুজোয় ঘট লাগে।
যারা পুজোর কাজের সাথে জড়িত আমরা জানি ঘটের মধ্যে অনেক উপাদান ব্যবহার হয়। যেমন- পঞ্চশস্য, পঞ্ছগুড়ি,পঞ্চপল্লব,পঞ্চরত্ন, জল,মাটি,নারিকেল,গামছা,কান্ডকাঠি ইত্যাদি।
আজকে আমরা এসব উপাদানগুলোর তাৎপর্য সম্পর্কে জানব।
ঘট আমাদের দেহের প্রতিরুপ………
*****পুজোর সময় পঞ্চগুড়ি দিয়ে পিঠ তৈরি করা হয় ।
____এই পঞ্ছগুড়ি_পঞ্চমহাভুত (অর্থাৎ ক্ষিতি , অপ , তেজ , মরুৎ , ব্যোম ) এর প্রতিক।
এই পঞ্চমহাভুত এর উপর মৃত্তিকা দিয়ে পিঠ তৈরি করা হয়।
*****মৃত্তিকা বেদীর উপর পঞ্চশস্য দেওয়া হয়।
____এই পঞ্চশস্য আমাদের পঞ্চবৃত্তি (কাম,ক্রোধ , লোভ, মোহ ও মাৎসর্য) এর প্রতীক ।
এর ওপর ঘট উপস্থাপন করা হয় ।
ঘট আমাদের দেহের প্রতিক। আধ্যাত্মিক ভাষায় দেহকে দেহঘটও বলা হয়।
*******ঘটের ভেতর পঞ্চরত্ন দেওয়া হয়।
____পঞ্চরত্ন হল এই পঞ্চইন্দ্রিয়ের (চক্ষু, কর্ন, নাসিকা, ত্বক ও জিহ্বা) প্রতিক।
********এর পর ঘটে জল ঢেলে পূর্ণ করা হয়।
____ জল হল দেহরস বা রক্ত।
*******ঘটে এবার পঞ্চপল্লব দেওয়া হয়।
____এই পঞ্চপল্লব এই পঞ্চবায়ু (পান, অপান, উদ্যান, সমান , ব্যান)এর প্রতিক ।
******এর উপর ডাব বা নারিকেল দেয়া হয়। আমরা জানি নারিকেল এ আমাদের মুখের মত চোখ, মুখ ,নাক দেখা যায়।
____সেই কারনে নারিকেল আমদের মুখমন্ডলের প্রতিরুপ।
মস্তক থাকলে তাতে আচ্ছাদন দিতে হয়। তাই নারিকেল এর উপর গামছা বা বস্ত্র দেওয়া হয়।
এই হল আমাদের দেহের প্রতিরুপ।
—আর কান্ডকাঠি হল চারবেদের প্রতীক।
------------------------------------------------------------------------------
সদা সর্বদা শ্রী শ্রী রাধা ও কৃষ্ণের পাদপদ্মের কথা স্মরণ করুন, তাহলে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারা আপনার জন্য বরাদ্দকৃত কার্য সম্পাদন করতে কোনও অসুবিধা অনুভব করতে হবে না।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণের কৃপার প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভরসা রাখতে হবে।
শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র নামটিতে অসাধারণ আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে কারণ শ্রীকৃষ্ণের নাম স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের থেকে আলাদা নয় ....
ঐকান্তিক ভালবাসা এবং নিষ্ঠার সাথে এই নামগুলি জপ করুন তবেই আপনি চিণ্ময় আনন্দ অনুভব করবেন:
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ...